একজন মেকুরের 'কষ্টের' বর্ণনা 
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ০২ অক্টোবর, ২০১৪, ১২:২৮:৩৩ দুপুর

এত কষ্ট কেন ভালবাসায়?
আজ দুপুরের দিকে হৃদয়ের কষ্ট কেমন তা অনুভব করার চেষ্টা করলাম।একটা স্কোপ এসে যেতেই সেটাকে লুফে নিলাম।
হ্যা, আমি একজন মেকুর। ইচ্ছে করলেই আগুন ধরাতে পারি, বৃষ্টি নামাতে পারি (আমার সম্পর্কে এক বিষন্ন বালিকার এই উক্তি)। বৃষ্টি নামাতে পারি- শুনে অন্য কিছু ভাবার অবকাশ নেই। চোখের জলের বৃষ্টিকে ভেবে নিন। এখন নিজেই বলছি, হৃদয়ের কষ্টকেও ইচ্ছে হলে আনতে পারি। সেটার অনুভুতি অনুভব করতে পারি- কষ্টের রঙকে অবলোকন করতে পারি।
কিন্তু সেই কষ্টের অবস্থাটা কি লিখে বন্ধুদেরকে অনুভব করাতে পারি?
অন্য কেউ পারে কিনা জানি না।
তবে আজ একটু নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম।
কষ্টটা যখন আসে তখন আমি কী-বোর্ডে লিখছিলাম। কেন আসলো সেটা বলছি না। যখন এর প্রথম ধাক্কাটা হার্টে লাগলো (এটা মানে এই অনুভুতিটা যা কিছুটা তরঙ্গের আকারে হার্টের পর্দায় আঘাত করে), লেখার মানে টাইপের গতি একটু স্লথ হল। তখনো চোখের দু'পাশ দিয়ে আমার আশপাশের যতদুর দেখা যায়, দেখছিলাম।
এরপরের ধাক্কাগুলো সেকেন্ডের ভগ্নাংশের ভিতরে উত্তরোত্তর কয়েকটা ধাক্কা দিয়ে গেল। আমার নিঃশ্বাস কেমন অনিয়মিত হয়ে গেল, বুকটা কেন জানি জ্বালা করে উঠল। হৃদয়ের ভিতরে বারবার বেজে উঠতে লাগল,' কেন, কেন এরকম হল? (এটা যার যার কষ্টভেদে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বেজে উঠবে)'।
কষ্টের শেষ পর্যায়টা খুবই এলোমেলো টাইপের। অনবরত হৃদয়ের বিটগুলো বাড়তে থাকে, কয়েকবার এমন মনে হচ্ছিল যে বুঝি বন্ধ হয়েই গেল নাকি (অনেকের মনে হতে পারে 'একবারেই বন্ধ হয়ে গেল না কেন?)।কী-বোর্ডে সঞ্চরণরত আমার দুহাতের আংগুল একেবারে স্লথ হয়ে গেল- ঠিক যেন স্লো-মোশন ছবির মত। অথচ কি লিখব, সেটা আগেই ব্রেইনে পৌঁছে গেছে। এইবারই প্রথম আংগুল অনেকটা পিছিয়ে গেল লিখার বেলায়। এরপর কয়েক সেকেন্ড থেমে গেল। চোখের দু'পাশের কোনো কিছুই এখন আর দেখতে পাচ্ছিলাম না।
দেখতে পাব কীভাবে?
দুপাশ বেয়ে তখন যে বয়ে চলেছে নোনা জলের ধারা!
এত কষ্ট কেন ভালবাসায়!!? ![]()
বিষয়: বিবিধ
১০০৭ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য




































পাঠকের মন্তব্য:
জয় হোক ভালুবাসার
জাজাকাল্লাহু খাইর।
কষ্ট আছে বলেই আমরা ভালবাসার প্রকৃত সুখ উপলব্ধি করতে পারি।
কষ্ট আছে বলেই ভালবাসার সুখের মিথ্যে আশায়ও বেচে থাকি।
ভালবাসার একটু ছোয়ায়ই ভুলিয়ে যাক কষ্টের বিশালতা-- এই কামনা।
ভুলিয়ে যাক কষ্টের বিশালতা। সহমত আপনার সাথে।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আমি এক সময়ে সেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছিলাম।
এই লিখাটা সেই সময়ের অনুভূতি- এক টুকরো হিরন্ময় অতীত সময়ের মায়াজালে কিভাবে বর্তমানে এসে গেল। আলহামদুলিল্লাহ! অনেক কষ্টে তা থেকে মুক্তি পেয়েছি (১০০% বলতে পারব না)।
আপনার সুক্ষ্ণানুভূতির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ইনশা আল্লাহ সেভাবেই আগাবো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
পড়লাম.. দোয়া করি
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন